নিজস্ব প্রতিনিধি,লামাঃ
মেহেদীর রং না মুছতেই গলা ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করল নিলুলুপা আক্তার মুন্নি (২০)। নিহতের বাড়ি বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পুকুরিয়া গ্রামের নিখোঁজ শহিদুল ইসলাম ও প্রবাসী সুফিয়া বেগমের একমাত্র মেয়ে। এক মাস আগে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কলাউজান এলাকার সাহেদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়।
নিহতের খালা অফুলা বেগম (৪৫) জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে গল্প গুজব শেষে খাওয়া দাওয়া করে সকলে ঘুমিয়ে পড়েন । ভোর ৫টায় মুন্নির নানী নামাজ পড়ার জন্য অজু করতে ঘর থেকে বের হলে বাড়ি পাশের জাম্বুরা গাছে তার লাশ ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে সবাই উঠে আসে। লামা থানাকে অবহিত করলে লামা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় লামা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। মামলা নং ০৭/১৬, তারিখ ১৭ মে ২০১৬ইং। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতের মা সুফিয়া বেগম মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা পাঠিয়েছে। আর দেড় মাস পর অনুষ্ঠান করে মুন্নিকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেয়ার কথা ছিল। মুন্নি স্বামী সাহেদুল ইসলাম বাড়ি মেরামতের কথা বলে উক্ত টাকা থেকে ২০ হাজার টাকার হাওলাত নেয়। উক্ত হাওলাতের টাকার নিয়ে বাড়াবাড়ি করে রাগে মুন্নি গলায় ফাঁসি খেয়েছে বলে তার পরিবারের লোকজন ধারনা করছে।
পাঠকের মতামত